পিকোলাক্স/ইজিলাইফ/ সপিলাক্স কিসের ঔষধ

Alamgir

Updated on:

ezylife syrup

পিকোলাক্স/ ইজিলাইফ/ সপিলাক্স কিসের ঔষধ ও খাওয়ার নিয়ম। পিকোলাক্স/ইজিলাইফ/সপিলাক্স ইজিলাইফ ওরাল সলিউশনে থাকে, প্রতি ১চামচে বা ৫ মি.লি. সিরাপে, সোডিয়াম পিকোসালফেট বিপি ৫ মি.গ্রা. এবং প্রতিটি ট্যাবলেটে আছে সোডিয়াম পিকোসালফেট বিপি ১০ মি.গ্রা.।

পিকোলাক্স/ ইজিলাইফ/ সপিলাক্স কিভাবে কাজ করে

সোডিয়াম পিকোসালফেট একটি ট্রাইএরাইলমিথেন গ্রুপ এর স্টিমুল্যান্ট ল্যাক্সেটিভ। এটি গ্রহনের পর বৃহদন্ত্রের ব্যাকটেরিয়া দ্বারা সক্রিয় ফলে বৃহদন্ত্রেই কাজ করে। সক্রিয় অবস্থায় সোডিয়াম পিকোসালফেট অস্ত্র প্রাচীরের স্নায়ু প্রান্তকে উদ্বীপনা দেয়, বৃহদন্ত্রের লুমেনে পানি ও ইলেকট্রলাইটের পরিমাণ বেড়ে যায় এবং পেরিস্টালসিস ত্বরান্বিত হয়। ফলশ্রুতিতে মল নরম হয়ে দ্রুততার সাথে অগ্রসর হয় এবং মলাশয়ের পূর্ণতা অনুভূত হয়। মলাশয়ের এই প্রভাব মল ত্যাগ ত্বরান্বিত করতে সাহায্য করে ।

পিকোলাক্স/ইজিলাইফ/সপিলাক্স কেন খায়

শক্ত বা কঠীন পায়খানা নরম করার জন্য, যাদের অর্শ বা গেজ আছে তাদেরকে সবসময় পায়খানা নরম রাখতে হয়। খাবারের মাধ্যমে যারা পায়খানা নরম রাখতে পারেননা, তাদেরকে ডাক্তাররা পিকোলাক্স/ইজিলাইফ/সপিলাক্স ঔষধ সাজেশন করেন। এছাড়াও অতিরিক্ত গ্যাস থেকে যাদের পায়খানা শক্ত হয় তাদের জন্য পিকোলাক্স/ইজিলাইফ/সপিলাক্স একটি আদর্শ টনিক।

পিকোলাক্স/ইজিলাইফ/সপিলাক্স এর কাজ কি

পুরাতন ও দীর্ঘস্থায়ী কোষ্ঠকাঠিন্য সহ যেকোন কারণে সৃষ্ট সকল প্রকার কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিকারে নির্দেশিত। এছাড়াও সার্জারী, প্রসবকালীন সময় ও রেডিওলজিক্যাল পরীক্ষার পূর্বে অস্ত্র পরিষ্কারে নির্দেশিত

পিকোলাক্স/ইজিলাইফ/সপিলাক্স খাওয়ার নিয়ম

রাতে ঘুমানোর আগে বয়স অনুযায়ী নিম্ন লিখিত ডোজ গ্রহণ করলে পরের দিন সকালে মল ত্যগ ত্বরান্বিত হবে। এটি সর্বনিম্ন ভোজ থেকে শুরু করা উচিত। নিয়মিত মল ত্যাগের জন্য সর্বোচ্চ নির্দেশিত ভোগ গ্রহণ করা যেতে পারে। সর্বোচ্চ নির্দেশিত দৈনিক ভোজ অতিক্রম করা উচিত নয়।

প্রাপ্ত বয়স্কদের সাধারন ডোজ- ২ চামচ করে রোজ রাতে ১বার।
১০ বছরের বেশি শিশুদের ক্ষেত্রে- প্রতিদিন ১বার ১-২ চামচ করে।
৪-১০ বছরের শিশুদের সাধারন ডোজ- আধা চামচ থেকে ১ চামচ করে রোজ ১বার।
৪ বছরের নিচে শিশুদের জন্য নির্ধারিত মাত্রা- ১ চামচের চার ভাগের ১ ভাগ থেকে আধা চামচ প্রতি রাতে ১বার।

পিকোলাক্স/ইজিলাইফ/সপিলাক্স এর প্রতিনির্দেশনা

সোডিয়াম পিকোসালফেট অথবা এর যেকোন উপাদানের প্রতি অতি সংবেদনশীলতা। এছাড়া তীব্র ডিহাইড্রেশন, আন্ত্রিক প্রদাহ, অস্ত্রের বাধাগ্রস্থতা, এ্যাপেনডিসাইটিস এর কারণে বমি বমি ভাব।

পিকোলাক্স/ইজিলাইফ/সপিলাক্স সেবনে সতর্কতা

অধিক মাত্রায় দীর্ঘদিন ব্যবহারের ফলে ফ্লুইড ও ইলেক্ট্রোলাইট ভারসাম্যহীনতা এবং হাইপোক্যালিমিয়া হতে পারে। এ্যালকোহল গ্রহণকারীদের জন্য ক্ষতিকর। গর্ভাবস্থায় ও স্তন্যদানকালে সতর্কতা গ্রহণ করতে হবে। এছাড়া শিশু, মৃগীরোগী এবং লিভার রোগে আক্রান্ত রোগীদের ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।

পিকোলাক্স/ইজিলাইফ/সপিলাক্স এর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া

অতিসংবেদনশীলতা, মাথা ঘোরা, সাময়িক সংজ্ঞাহীনতা, ভ্যাসোভ্যাগাল প্রতিক্রিয়া, পরিপাকতন্ত্রের জটিলতা, ডায়রিয়া, পেটে ব্যাথা এবং বমি বমি ভাব হতে পারে। কিছুটা পাতলা পায়খানা হলে ঘাবড়ে যাওয়ার কোন প্রয়োজন নাই।

গর্ভাবস্থায় পিকোলাক্স/ইজিলাইফ/সপিলাক্স এর ব্যবহার

গর্ভাবস্থায় এই ওষুধের কোন ক্ষতিকর প্রভাব পাওয়া যায়নি। তারপরও গর্ভাবস্থায় প্রথম তিন মাস এই ওষুধ ব্যবহার থেকে বিরত থাকুন। তবে ১ম ৩মাস অতিবাহিত হওয়ার পর গর্ভকালীন বাকি সময় পিকোলাক্স/ইজিলাইফ/সপিলাক্স সেবনে কোন সমস্যা হবেনা।

স্তন্যদানকালীন পিকোলাক্স/ইজিলাইফ/সপিলাক্স এর ব্যবহার

সোডিয়াম পিকোসালফেট মাতৃদুগ্ধের সাথে নির্গত হয় না। তাই পিকোলাক্স/ইজিলাইফ/সপিলাক্স ব্যবহারে তেমন কোন সমস্যা হওয়ার কথা নয়।

অন্যান্য ওষুধের সাথে পিকোলাক্স/ইজিলাইফ/সপিলাক্স এর কাজ

ডাই-ইউরেটিকস অথবা এডরেনো-করটিকোস্টেরয়েড ইঞ্জিলাইফের সাথে অধিক মাত্রায় গ্রহণের ফলে ইলেকট্রোলাইট ভারসাম্যহীনতার ঝুঁকি বেড়ে যায়। এন্টিবায়োটিকের সাথে গ্রহন করলে এই ওষুধের কার্যকারিতা কমে যেতে পারে।

পিকোলাক্স/ইজিলাইফ/সপিলাক্স এর ওভারডোজ

অতি মাত্রায় দীর্ঘদিন ল্যাক্সেটিভ গ্রহন করলে দীর্ঘস্থায়ী ডায়রিয়া, পেটে ব্যাথা, হাইপোক্যালেমিয়া, সেকেন্ডারি হাইপার-অ্যালডোস্টেরোনিজম এবং রেনাল ক্যালকুলি হতে পারে। দীর্ঘদিন ল্যাক্সেটিভ অপব্যবহারের ফলে রেনাল টিউবুলার ড্যামেজ, মেটাবলিক অ্যালকালোসিস এবং সেকেন্ডারি পেশী দুর্বলতা থেকে হাইপোক্যালেমিয়া হতে পারে।

আরো পড়ুন- এ্যালভি ট্যাবলেট কিসের ঔষধ এবং খাওয়ার নিয়ম কি

Leave a Comment