ওমিপ্রাজল কিসের ঔষধ ও খাওয়ার নিয়ম সহ বিস্তারিত

Abu Saleh Md Alamgir

Updated on:

ওমিপ্রাজল ২০

ওমিপ্রাজল কিসের ঔষধ কি কাজ করে কেন খায় এবং খাওয়ার নিয়ম ও সাইড এফেক্ট ও ব্রন্ডিং নাম সহ বিস্তারিত আলোচনা করবো আজকে। ক্যাপসিট্যাব সাইটে শুধু ঔষধ নিয়েই আলোচনা করা হয়, তবে তা শুধু মাত্র সচেতনতা বৃদ্ধির উদ্দেশ্যে। যেকোন ঔষধ সেবনের পুর্বে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।

ওমিপ্রাজল কিভাবে কাজ করে

ওমিপ্রাজল একটি প্রতিস্থাপিত বেনজিমিডাজল জাতীয় ঔষধ, যা গ্যাস্ট্রিক এসিড নিঃসরণে প্রতিবন্ধক হিসাবে কাজ করে। ওমিপ্রাজল গ্যাস্ট্রিক প্যারাটাইল কোষের প্রোটন পাম্প হিসাবে পরিচিত হাইড্রোজেন পটাশিয়াম এ্যাডিনোসিন ট্রাইফসফেটেজ এনজাইম সিস্টেমকে বাধা দিয়ে, গ্যাস্ট্রিক এসিড নিঃসরণে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করে।

ওমিপ্রাজল কি কাজ করে

ওমিপ্রাজল বিনাইন গ্যাস্ট্রিক ও ডিওডেনাল আলসার, বুক জ্বালা, নন স্টেরয়ডাল ব্যাথানাশক ঔষধ দ্বারা ট্রিটমেন্ট এর ফলে সৃষ্ট জটিলতা, হ্যালিকোব্যাকটার পাইলরি সংশ্লিষ্ট পেপটিক আলসার, গ্যাস্ট্রো ইসোফেজিয়াল রিফ্লাক্স রোগ, জোলিঞ্জার-এলিসন সিনড্রোম, অতিরিক্ত এসিড নিঃসরণের লক্ষ্মণসমুহের প্রতিরোধে চিকিৎসা, এসিডজনিত বদহজম এবং অন্যান্য অতিরিক্ত এসিড নিঃসরণ জনিত জটিলতায় কাজ করে।

ওমিপ্রাজল খাওয়ার নিয়ম

ওমিপ্রাজল খাবারের ২০-৩০ মিনিট পুর্বে খেতে হয়। প্রাপ্ত বয়স্ক রোগী প্রতিদিন ২০-৪০ মিগ্রা ক্যাপসুল ১ মাস পর্যন্ত সেবন করতে পারবেন। ডিওডেনাল আলসারের চিকিৎসায় ২ মাস পর্যন্ত সেবন করা যায়। রোগের তীব্রতা অনুযায়ী ২০ থেকে ৪০ মিগ্রা পর্যন্ত দেয়া যেতে পারে। বুক জ্বলার জন্য ২০ মিগ্রা করে দিনে ১ বার ১৫ দিন পর্যন্ত দেয়া যাবে।

আরও পড়ুনঃ স্বাস্থ্য বীমা কি | স্বাস্থ্য বীমার প্রয়োজন কি | কোথায় করবেন?

নন স্টেরয়ডাল প্রদাহরোধী ঔষধ দ্বারা চিকিৎসার ফলে সৃষ্ট জটিলতায় ২০ মিগ্রা করে দিনে ১ বার ৪ সপ্তাহ পর্যন্ত দেয়া যাবে।

হ্যালিকোব্যকটার পাইলরি সংশ্লিষ্ট পেপটিক আলসারের চিকিৎসায়
“ওমিপ্রাজল ২০ মিগ্রা দিনে ২ বার
এমোক্সিসিলিন ১ গ্রাম দিনে ২ বার
ক্লারিথ্রোমাইসিন ৫০০ মিগ্রা দিনে ২ বার”
এভাবে ১ থেকে ২ সপ্তাহ চলবে

অথবা,
“ওমিপ্রাজল ২০ মিগ্রা দিনে ২ বার
মেট্রোনিডাজল ৪০০ মিগ্রা দিনে ২ বার
ক্লারিথ্রোমাইসিন ৫০০ মিগ্রা দিনে ২ বার”
১ সপ্তাহ পর্যন্ত সেবন করতে হবে।

অথবা,
“ওমিপ্রাজল ২০ মিগ্রা দিনে ২ বার
এমোক্সিসিলিন ১ গ্রাম দিনে ২ বার
মেট্রোনিডাজল ৪০০ মিগ্রা দিনে ২ বার”
এভাবে ১-২ সপ্তাহ পর্যন্ত সেবন করতে হবে।

রোগের তীব্রতা অনুযায়ী এবং অসম্পূর্ণ নিরাময়ের ক্ষেত্রে এই সেবন মাত্রা দ্বিগুণ করা যায়, তবে তা অবশ্যই একজন রেজিস্ট্রার্ড ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী হতে হবে।

ওমিপ্রাজল গ্রুপের কি কি ঔষধ পাওয়া যায়

ওমিপ্রাজল গ্রুপের ঔষধের মধ্যে টেবলেট, ক্যাপসুল, ইঞ্জেকশন, ইনফিউশন, স্যাচেড প্রিপারেশনে বাজারজাত করা হয়। প্রয়োজন অনুসারে চিকিৎসকগন যখন যা দরকার তা ই দিয়ে থাকেন।

গর্ভাবস্থায় ওমিপ্রাজল খাওয়া যাবে কিনা

গর্ভবতী মহিলাদের ক্ষেত্রে ওমিপ্রাজল ব্যবহারের পর্যাপ্ত তথ্য নেই, তবুও অনেক চিকিৎসকগন গর্ভধারণের ৩য় মাসের পর থেকে সেবন করতে নিষেধ করেননা। তবুও ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া ওমিপ্রাজল সেবন করা উচিৎ নয়।

ওমিপ্রাজল গ্রুপের কয়েকটি ঔষধের নাম

ওমিপ্রাজল গ্রুপের কয়েকটি ঔষধের নাম হলো- সেকলো, লোসেকটিল, পিপিআই, জেলড্রিন, ওমিক্রন, ওপি, কোসেক, ওমেপ, ইত্যাদি।
তবে কিছু অসাধু কোম্পানি কভার বা নামের সাথে মিল রেখে নকল ওমিপ্রাজল তৈরি করে আসছে, এগুলো থেকে সর্বদা সাবধান থাকতে হবে। অনেক কোম্পানি শুধু ওমিপ্রাজল নাম দিয়ে বাজারজাত করেছে, এগুলোও তেমন ভাল কোয়ালিটির নয়, এটা খেয়াল রাখবেন।

ওমিপ্রাজল সেবনে সতর্কতা

অনেক রোগী আছেন, যারা বহুদিন যাবত ওমিপ্রাজল সেবন করে আসছেন, যা সম্পুর্ন অনুচিত। এতে স্বাস্থ্যঝুকি থাকার আশংকা আছে। চিকিৎসা শাস্ত্রের ভাষ্য অনুযায়ী দীর্ঘদিন এন্টি-আলসারেন্ট কোন ঔষধই দীর্ঘদিন সেবন করা উচিৎ নয়।

Omiprazole গ্রুপের কয়েকটি ঔষধের নাম

Omiprazole গ্রুপের কয়েকটি ঔষধের নাম- Seclo-20 40, Losectil-10 20 40, Omep-20, Xeldrin-20, Aspra-20, Eupi-20, I-proton-20, Inhibita-20, Ome-20, Omegut-20, Ometid-20, xelopes-20, PPi-20, Opal-20 ইত্যাদি।

আরও পড়ুন – প্রিগাবালিন কিসের ঔষধ | খাওয়ার নিয়ম সহ বিস্তারিত

2 thoughts on “ওমিপ্রাজল কিসের ঔষধ ও খাওয়ার নিয়ম সহ বিস্তারিত”

  1. প্রোটেোবিট ২০
    ওমিপ্রাজল
    বিপি ২০ মি.গ্রা
    M.A.NO.:032-44-29
    M490623 E25

    এই ঔষধটা যখন পাতা থেকে খুলি তখন আমার নাকে একটা এসিড / গ্যাসের মতো গন্ধ লাগে।

    প্রশ্ন হলো এই গন্ধ থাকাটা কি স্বাভাবিক নাকি ঔষধটা তে প্রবলেম রয়েছে?

    Reply
    • আপনি Xeldrin 20 অথবা Losectil 20 খেতে পারেন এটায় নাকে গন্ধ কম লাগবে। বা নাও লাগতে পারে।

      Reply

Leave a Comment