ডমপেরিডন হলো বেঞ্জিমিডাজল গ্রুপের একটি ড্রাগ যা গেস্টো-প্রোকাইনিটিক হিসেবে পরিচিত এবং এটি এন্টি-এমিটিক গুণাবলী বৈশিষ্ট্য ঔষধ। প্রতিটি ট্যাবলেটে ১০ মিলিগ্রাম হিসেবে ডমপেরিডন থাকে। আর ডমপেরিডন সিরাপে প্রতি চামচে পাঁচ মিলিগ্রাম হিসাবে ঔষধ থাকে।
ডমপেরিডন এর কাজ কি
পাকস্থলী খালি হতে দেরি হওয়া অথবা গ্যাষ্ট্রোইসোফেগাল রিফ্লাক্স এবং ইসুফেগাসের প্রদাহ জনিত ডিসপেপসিয়া, যেমন- পেট খালি না হওয়া, পেট ফোলা,উপর পেটে ব্যথা, ফ্লাটুলেন্স,হার্টবার্র ইত্যাদি সমস্যায় কাজ করে।
কার্যগত, জৈ্ ছোয়াচে, খাবা্ রেডিও থেরাপি, মেডিসিন থেরাপি ইত্যাদি জনিত বমি এবং বমি ভাব, মাইগ্রেন যুক্ত বমি কিংবা বমির ভাব দূর করে।
ডমপেরিডন খাওয়ার নিয়ম
দীর্ঘ মিয়াদি ডিস্পেপসিয়া
প্রাপ্তবয়স্ক- কোন কিছু খাওয়ার ১৫ থেকে ৩০ মিনিট আগে- ১-২ টি করে ট্যাবলেট দিনে দুই থেকে তিনবার এবং বিশেষ প্রয়োজনে ঘুমানোর আগে আবারও এক থেকে দুটি ডমপেরিডন ট্যাবলেট খাওয়া যেতে পারে।
শিশুদের ক্ষেত্রে- ডম্পেরিডন সিরাপ আধা চামচ থেকে এক চামচ অথবা শরীরের ওজন অনুসারে প্রতি চার থেকে আট ঘন্টা পর পর, কোন কিছু খাওয়ার আগে এবং প্রয়োজন হলে ঘুমাতে যাওয়ার আগেও ডমপেরিডন সিরাপ খাওয়ানো যাবে।
বমি অথবা বমি বমি ভাব হলে
প্রাপ্তবয়স্ক- এক থেকে দুটি ট্যাবলেট দৈনিক দুই থেকে তিনবার খাওয়ার আগে অথবা ঘুমানোর আগে খাওয়া যাবে। বিশেষ প্রয়োজনে ডম্পেরিডন ট্যাবলেট চারবারও খাওয়া যেতে পারে।
শিশুদের ক্ষেত্রে- আধা চামচ থেকে এক চামচ ডমপেরিডন সিরাপ তিন থেকে চারবার কোন কিছু খাবার আগে এবং ঘুমাতে যাওয়ার আগে খাওয়ানো যেতে পারে।
অমিডন ট্যাবলেট যাদেরকে খাওয়ানো যাবে না।
যদি পাকস্থলীতে বিপদজনক কোন সমস্যা দেখা দেয়, যেমন- পাকস্থলী ছিদ্র হওয়া, পাকস্থলী থেকে রক্ত পড়া ইত্যাদি সমস্যা থাকলে অমিডন বা ডমপেরিডন সিরাপ অথবা ট্যাবলেট খাওয়ানো যাবে না।
ডমপেরিডন এর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া
অমিডন বা ডিফ্লাক্স ট্যাবলেট সিরাপ কোন কোন ক্ষেত্রে রক্তের প্রোল্যাক্টিন লেভেল বাড়িয়ে দিতে পারে। ফলে গ্যালাকটোরিয়া, গাইনিকোমাস্টিয়া, এমেনোরিয়া দেখা দিতে পারে। ডোজ কমিয়ে দিলে অথবা ডমপেরিডন খাওয়া বন্ধ করলে এই পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া দেখা দেয় না। এছাড়াও মাথা ধরা, মাথাব্যথা, ডায়রিয়া,মুখ শুকিয়ে যাওয়া ইত্যাদি সমস্যা দেখা দিতে পারে।
ডমপেরিডন সেবনে সতর্কতা
এন্টাসিড বা এন্টি -সেক্রেটরি এজেন্ট এর সাথে ডমপেরিডন ব্যবহার করা উচিত নয়। যদি উভয় ড্রাগেরই প্রয়োজন হয়, তাহলে ডমপেরিডন কোন কিছু খাওয়ার পরে খেতে হবে। লিভারের সমস্যা জনিত রোগীদের ক্ষেত্রে সতর্ক থাকতে হবে। এক বছরের কম বয়সী বাচ্চাদের ক্ষেত্রে নিউরালজিক পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার আশঙ্কা থাকে।
অন্য ওষুধের সাথে ডমপেরিডন এর মিশ্র প্রতিক্রিয়া কি
এন্টিকুলেনার্জিক ড্রাগ অমিডন জাতীয় ঔষধের anti dispective কার্যক্রমকে বাড়িয়ে দেয়। এন্টাসিড এবং এন্টিসেক্রেটরী এজেন্ট, অমিডন জাতীয় ঔষধের বায়ু এভেইলেবেলিটিকে কমিয়ে দিতে পারে।
ডম্পেরিডন গ্রুপের অন্যান্য ওষুধ এর নাম
অমিডন– ইনসেপ্টা ফার্মাসিউটিক্যালস, ডিফ্লাক্স– বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস, ডন এ– একমি ল্যাবরেটরি, ডমি্রেন– রেনাটা লিমিটেড, ডমিলিন– জেনারেল ফার্মাসিউটিক্যালস, মটিগাট– স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস, এছাড়াও গ্রুপের আরো অনেক ওষুধ আছে।
উপরোক্ত ওষুধগুলো সচরাচর ডাক্তাররা লিখে থাকেন এবং এগুলো প্রত্যেকটি খুব ভালো মানের। আশা করি ডম্পেরিডন কিসের ঔষধ এবং খাওয়ার নিয়ম সহ বিস্তারিত ভালোভাবে জানতে পেরেছেন। সর্বোপরি আমার একটি অনুরোধ থাকবে, এই ওষুধগুলো সম্পর্কে আপনাকে শুধু ধারনাই দেওয়া হলো। এটা কোন চিকিৎসা নয়, কোন ওষুধ খাওয়ার পূর্বে অবশ্যই বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নিবেন। অন্যথায় স্বাস্থ্যগত সমস্যা হতে পারে। ডম্পেরিডন সম্পর্কে আরো কোন কিছু জানার থাকলে কমেন্টে জানাতে পারেন।